স্টাফ রিপোর্টার
ফতুল্লার কাশিপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া (৬৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে শনিবার ২৯ জুন দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার ২৮ জুন দিবাগত রাতে নিহতের ছেলে মুন্না বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন বিষয়টি গণমাধ্যম নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নূরে আযম মিয়া । তিনি জানান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সালু হীরা তমাল শফর আলিসহ প্রায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামি বাপ্পি ও জামালকে গ্রেফতার করেছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৭ জুন দুপুরে ফতুল্লার উত্তর কাশিপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী সালু হিরা লোকজন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ছিলেন এ ছাড়া তিনি আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন আহতরা হলেন সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ ৩৫ ও রাজু আহমেদ ৪০ এবং অটোরিকশা চালক মো. রাসেল ৩২ ও শাকিল ৩০ । ফতুল্লায় আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন লিখন ও আহত জনির ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন জানান তাদের বাড়ি ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে আজ সকালে চাঁদা দাবি করে ওই ভবনের মালিক এলাকার বিষয়টি নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন এটি নিয়ে সুরুজ মিয়া হিরা ও সালুকে শাসন করেন। তারা আরও জানান এর জের ধরে ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করে ঘাতকরা পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।