গণমাধ্যম নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ফক্স নিউজে ৪ সেপ্টেম্বরে নির্বাচনি বিতর্কের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু এই প্রস্তাব নাকচ করেছে হ্যারিসের প্রচার শিবির।
তারা বলছে, ফক্স নিউজে বিতর্কের প্রস্তাব দিয়ে ট্রাম্প মূলত এবিসি নিউজের পূর্ব নির্ধারিত বিতর্ক থেকে পিছু হটার চেষ্টা করছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের ২৭ জুনের প্রথম বিতর্কের পর দ্বিতীয় বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল ১০ সেপ্টেম্বরে এবিসি নিউজে। কিন্তু বাইডেন সরে গিয়ে তার জায়গায় হ্যারিস আসার পর ট্রাম্প তাকে পূর্বনির্ধারিত এই বিতর্কের পরিবর্তে ফক্স নিউজে ৪ সেপ্টেম্বরে বিতর্ক করার বিকল্প ওই প্রস্তাব দেন।ট্রাম্প বলেন, বিতর্কটি ফক্স নিউজে হওয়া উচিত। এর কারণ, ফক্স নিউজ ট্রাম্পের অনুসারীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক।
ওদিকে, হ্যারিস এরই মধ্যে শুক্রবার ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেয়ে গেছেন। এরপরই হ্যারিস বলেছেন, এবিসি নিউজের নির্ধারিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে তিনি অংশ নিতে চান।
কিন্তু ট্রাম্প শুক্রবার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে বলেন, “আগামী ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ফক্স নিউজের প্রস্তাবিত নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নিতে আমি রাজি হয়েছি। এর আগে এবিসি ঘুমন্ত জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আয়োজন করেছিল। তবে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। কারণ বাইডেন আর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নন।”ট্রাম্প এও বলেন, “২৭ জুনে বাইডেনের বিরুদ্ধে সিএনএন আয়োজিত বিতর্কে যে নিয়মে হয়েছিল, আগামী বিতর্কটিও সে নিয়মেই হবে। ডিবেটের পরই বাইডেনের দল তার ব্যাপারে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সিএনএন এর সেই বিতর্কে লাইভ দর্শকশ্রোতা ছিল না। কিন্তু এবার তা থাকবে।”
অথচ বাইডেন প্রার্থী থাকার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, যে কোনও সময় যেকোনওখানে তিনি বিতর্ক করতে রাজি আছেন।
হ্যারিস এ বিষয়টির উল্লেখ করে স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, “যে কোনও খানে যে কোনও সময় কীভাবে একটি সময়ে, একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে বদলে গেল সেটি সত্যিই মজার বিষয়। আমি ১০ সেপ্টেম্বরে ওই স্থানেই থাকব যেটিতে তিনি (ট্রাম্প) রাজি হয়েছিলেন। আমি তাকে সেখানেই দেখতে পাওয়ার আশা করছি।”হ্যারিসের মুখপাত্র মাইকেল টেলর বলেছেন, ট্রাম্প ভয় পাচ্ছেন। হ্যারিসের শিবির ১০ সেপ্টেম্বরের পরও আরও বিতর্ক করা নিয়ে খুশিমনে আলোচনা করবে। যে বিষয়ে দুইপক্ষের প্রচার শিবিরই রাজি হয়েছিল।
ট্রাম্প উল্টো শনিবার ট্রুথ স্যোশালে লিখেছিলেন, হ্যারিসই বিতর্ক করতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি ৪ সেপ্টেম্বরে বিতর্কেই হ্যারিসের মুখোমুখি হবেন। আর নতুবা আদৌ মুখোমুখি হবেন না।