সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজডে চাকরিতে বৈষম্যের অভিযাগ এনে চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেছে। রবিবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় চাকরির জন্য ইপিজেড এলাকায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এসময় ইপিজেডে ঢুকে ৫-৬টি কারাখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাঁচ ভাংচুর করে তারা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এ ঘটনায় রপ্তানিমুখী শিল্প অঞ্চল ইপিজেডের প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখা হয়। এতে ইপিজড অভ্যন্তরের কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয় পড়ে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইপিজেডের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪’শর মতো চাকরি প্রত্যাশী লোকজন চাকরির জন্য একত্রিত হয়ে বিক্ষাভ শুরু করন। তাদের অভিযাগ চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়ন করা হয়, আর মেয়েদের চাকরি দেয়া হয়। রবিবার কয়কজন যুবক চাকরির জন্য ইপিজড প্রবশ করলে তাদর উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে বলে অভিযাগ করেন তারা। চাকরি প্রত্যাশী এক যুবক বলেন, রবিবার সকাল চাকরির জন্য তারা ৫ জন ইপিজেডের ভেতর প্রবশ করেন। এ সময় ই-স্টার নামক একটি কারখানায় গেলে তাদর আটকানো হয় এবং নিজেদর ছাত্র পরিচয় দিলই তাদেরকে মারধর করা হয়। আহত যুবক আরও বলেন, আমরা যখন ছাত্রর পরিচয় দেই এতে আরও বশি ক্ষিপ্ত হন তারা। আমরা শুধুমাত্র চাকরির জন্য সেখান গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে আদমজী ইপিজডর ই-স্টার নামক কারখানার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ৩৫-৪০ জনের বহিরাগত লোকজন আমাদর কারখানাসহ ৫-৬টি কারখানায় হামলা ও ভাংচুর করে। তারা ইটপাটকেল নিক্ষপ করে কাঁচ ভাংচুর কর। এ সময় অন্যান্য কারখানার লাকজন এসে তাদরকে ধাওয়া দেয়। এ ঘটনায় আদমজী ইপিজড এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়ক যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আদমজী ইপিজডর নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মাহবুব আহমদ সিদ্দিক বলেন, প্রতিদিনই চাকরি প্রত্যাশীরীরা ইপিজেডে আসেন। চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি এদের সবাইক চাকরি দিতে হব। মহিলাদের চাকরি বেশি দেয়া হয়। আগে থেকেই ইপিজেডে মহিলাদের চাকরি কেশি হয়। গার্মেন্টসে মহিলাই বেশি কাজ করেন। কাজের ধরণ অনুযায়ী মহিলা ও পুরষ কাজ পান। কোম্পানীগুলা সেই অনুযায়ী নিয়াগ দিয়ে থাকেন। চাকরি প্রত্যাশীদর দাবি সকলকে চাকরি দিতে হব। মহিলাদের সমান পুরষদর চাকরি দিতে হবে। এ বিষয়গুলা নিয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা বাগ-বিতন্ডা করেন। এ সময় তারা কিছু ইটপাটকেল নিক্ষপ করে কয়কটি কারখানার কাঁচ ভাংচুর করেন। তবে তমন ভাংচুর হয়নি। চাকরি প্রত্যাশিদর উপর হামলা করা হয়নি, রবং তারা উল্টা ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি কারখানার কাঁচ ভাংচুর করেছে।