স্টাফ রিপোর্টার
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান।আদালতের সময় নষ্ট করায় তাকে ১০ হাজার অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।আদালতে সেলিম প্রধানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন খান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও আশফাকুর রহমান।এছাড়া আরেক প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও মাহিন এম রহমান।নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ পরে সাংবাদিকদের বলেন, “সেলিম প্রধান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আদালতের সময়ের অপব্যবহার করার জন্য তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম প্রধান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন।ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন সেলিম। গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসকও মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাই কোর্টে রিট আবেদন সেলিম প্রধান। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয়।ওই আদেশের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও নির্বাচন কমিশন। গত ২ মে হাই কোর্টের ওই আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।হাবিবুর রহমানের আইনজীবী মাহিন এম রহমান বলেন, সেলিম প্রধান চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বাতিল করার আবেদন করেন একই আদালতে। চেম্বার আদালত ওই আবেদন শুনানি জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।“আপিল বিভাগে তাদের আইনজীবী আজ আবেদনটি নন প্রসিকিউশন করতে চাইলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর তাদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ১০ হাজার টাকা দণ্ড দেন।”