স্টাফ রিপোর্টার
রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই তরুণের নাম মো. দ্বীন ইসলাম (২৩)। তিনি নাওড়া এলাকার বিল্লাত হোসেনের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন নাওড়া এলাকার জাহিদ মিয়া, মো. সোহেল, শাহিন, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রাজীব, হোসেন মিয়া, নাজমুল প্রধান, জেসমিন, ইভা, ওয়াসিম ও সাখাওয়াত। আহত ব্যক্তিদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত ৯টা বাজে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় বলে গণমাধ্যমকে জানায়
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা
স্থানীয় জানায়, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাই রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মোশাররফ হোসেন এলাকাছাড়া হন। গত মঙ্গলবার মোশাররফ তাঁর এক স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে এলাকায় আসেন। সে সময় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করলে মোশাররফ এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এর জেরে তিন দিন ধরে নাওড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর বিকেল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন হেলমেট মাথায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। পরে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা থেকে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্তত ১২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়েন। এলাকা এখন শান্ত আছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।