স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর নতুন গভর্নিং বডির সভাপতি ও নির্বাচিত সদস্যদের শুভেচ্ছা জ্ঞপন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টায় স্কুলের অডিটোরিয়ামে সভাটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল। সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর নতুন গভর্নিং বডির নবনির্বাচিত সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের স্ত্রী সুতাপা শীল। আরও উপস্থিত ছিলেন- নবগঠিত কমিটির সাধারণ শিক্ষক সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, মো. আব্দুল ওহাব, অভিভাবক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম মিঠু, মো. পরাগ দেওয়ান, মোহাম্মদ কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সৈয়দা ফাহমিদা আহমেদ ও দাতা সদস্য সোহেল আক্তার সোহান, সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, প্রভাতি সাথি রানি সাহা, সিনিয়র শিক্ষক গৌতম কুমার সাহা, জহিরুল হক মোল্লা, ফজলুল হক, শিকান্ত চন্দ্রসহ স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চন্দনশীল বলেন, আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। রাজপথেই বেশি থাকি। একদিন সেলিম ভাইয়ের সাথে বসে ছিলাম। এমন সময় হাইস্কুলের সাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার কাছে গেলেন কোন একটি কাগজে সই করতে। সেই কাগজে সভাপতির নাম দেখে সেলিম ভাই রেগে গেলেন। আমরা সবাই মিলে তাকে শান্ত করলাম। তখন তিনি হটাৎ করে বলে উঠলেন, সভাপতির স্থানে চন্দনের নাম লিখো। আমি তাকে বললাম, আমি তো এই কাজের জন্য একদমই প্রস্তুত না। তখন তিনি বললেন, কেন সাহস নাই? তখন এই জায়গায় একটি চ্যালেঞ্জ মনে হলো। সাহসের কথা যখন বলেছেন, তখন এই দায়িত্ব তো নিতেই হয়। ওইদিন তিনি একটা কথাই বলেছিলেন, চন্দন স্কুলটাকে বাঁচাও। আমি তখন মনে করলাম, স্কুল বাঁচানোর আবার কি আছে।
স্কুল কমিটির এই বিদায়ী সভাপতি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন আমরা মাসে টিউশন ফি পেতাম ১৩লাখ টাকা। বেতন ভাতা দিতাম সারে ১৭লাখ টাকা। ফান্ড আমাকে দেওয়া হয়েচিলো ৬০ লাখ টাকা। তখন বলাবলি হচ্ছিলো এই টাকা খাওয়ার জন্যই চন্দনশীল আসছে। তখনই আমি চিন্তা করেছিলাম, যখন এখান থেকে যাবো, এই ৬০লাখ টাকার আগে পরে আরও কয়েকটি সংখ্যা লাগিয়ে দিয়ে যাবো। বর্তমানে আমাদের স্কুলের ফান্ড রয়েছে ৪কোটি টাকার উপরে। টাকার অভাবে বার্ষিক ক্রীড়া হতো না, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো না।তিনি বলেন, একটা কথা আছে, ‘পাছে লোকে কিছু বলে’। হিংসা তারাই করে যাদের সামর্থ নেই, যোগ্যতা নেই। যাদের সামর্থ আছে, যোগ্যতা আছে; তারা সাহয্য করে। অপপ্রচার তারাই করবে যাদের পারিবারিক কোন শিক্ষা নাই। একদম নিম্ন শ্রেনি থেকে উঠে এসেছে এমন মানুষ। তারাই জাত নিয়ে কথা বলে।তিনি আরও বলেন, আমরা একটি ইচ্ছে ছিলো যে, স্কুলটাকে আমি এমপিও ভুক্ত করে দিয়ে যাবো। আমি গর্বিত কারণ আমি এই স্কুলের একজন প্রাক্তন ছাত্র। তবে, এই স্কুলটা যখন সরকারি হয়ে যাবে তখন অনেকেই এখানে আর থাকবেন না। আমরা সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। আজ এই স্কুলটা অনেক ভালো স্থানে আছে। অনেকের এই অবস্থানটা সহ্য হয় না।নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, ‘আমি জানি এই স্কুলটা সব দিক দিয়েই ভালো অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা, সাংস্কৃতি, খেলাধুলা; সব দিক দিয়েই এগিয়ে আছে। এখন আমরা এসেছি কমিটিতে, তাই আপনাদের কাছে আমরা সহযোগীতা চাই। যদি আপনারা সহযোগীতা করেন, আমরা সবাই মিলে স্কুলটাকে আরও ভালো দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আশা করি আপনারা সবাই সহযোগীতা করবেন।’
facebookShare on