স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর চাঁনমারী মসজিদের স্থান পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে, নারায়ণগঞ্জের মানুষকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে শামসুজ্জোহা সড়কটি প্রশস্ত করা হচ্ছে। এরজন্য মসজিদ দুটি স্থানান্তর করে আপাতত সরকারী ভাবে এখানে একটি নামাজঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানে একটি বিষয় হচ্ছে শরিয়ত মোতাবেক ওয়াকফা ছাড়া মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় হয়না। আমি সকলের প্রতি অনুরোধ রাখবো আপনারা একটু ধৈর্য্য ধারণ করেন। এখানেই সরকারী ভাবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল মসজিদ নির্মিত হবে। যা অত্যন্ত আধুনিক এবং সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। সেই সাথে এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে নারায়ণগঞ্জের যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে। তাই সকলের প্রতি আমার আহবান থাকবে আপনারা দেশের উন্নয়নের কাজে সহযোগীতা করুন।’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রুটে এ.কে.এম শামসুজ্জোহা সড়ক প্রশস্তকরন কাজ চলছে। কিন্তু এই সড়কটি প্রশস্ত করতে হলে গিয়ে চাঁনমারি এলাকার শাহী জামে মসজিদ এবং ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে নাসিম ওসমান জামে মসজিদ দুটি ভেঙ্গে স্থানান্তর করতে হবে। এই পক্রিয়ায় চাঁনমারী শাহী জামে মসজিদের পাশেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি অস্থায়ী ভাবে একটি নামাজের স্থান নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আপত্তি দেখা দিলে রবিবার (১৪ জুলাই) সেই স্থানটি পরিদর্শনে যান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
জানা যায়, এ.কে.এম শামসুজ্জোহা সড়ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রুট প্রশস্ত করনের কাজ প্রায় পুরোটাই সম্পন্ন হলেও চাষাঢ়া থেকে চানমারি পর্যন্ত জমি নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর গুলো দীর্ঘ সময় ধরে চিঠি চালাচালির পর অবশেষে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও একেএম সেলিম ওসমানের প্রচেষ্টা ও সহযোগীতায় সেনাবাহিনীর সাথে একটি সমঝোতায় রাস্তার কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর ১ দশমিক ৪৮ একর জমি নেওয়া হচ্ছে, যার পরিবর্তে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে অন্যত্র ১ দশমিক ০৩ একর জমি তাদেরকে দেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর ওই ১ দশমিক ৪৮ একর জমিতেই মসজিদ দুটি পড়েছে। বর্তমানে যেখানে অস্থায়ী ভাবে নামাজের স্থান নির্মাণ করা হচ্ছে এর পাশেই উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মিত হবে।