আব্দুল্লাহ আল মামুন
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন গণমাধ্যমের স্ট্যাফ রিপোর্টার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে নানাবিধ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর প্রদান করেন ফারহানা মানিক মুনা।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে সুবিধা আদায়ে চেষ্টাকারীদের ব্যাপারে প্রশ্ন প্রসঙ্গে মুনা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একমাত্র জেলা কমিটি ছাড়া আর কোন ক্ষুদ্র ইউনিটের কমিটি নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যপকভাবে সমন্বয় পরিচয় দিয়ে নিজেদের জাহিরের চেষ্টায় ও অপকর্মে ব্যস্ত নানাবিধ মানুষ। যাদের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও বিব্রত। অনেক জায়গায় ছাত্রলীগের কর্মীরাও এখন নিজেদেরকে সমন্বয়ক বলে দাবী করছেন বলে জানান মুনা।
এ ব্যাপারে কি পদক্ষেপ, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফারহানা মানিক মুনা বলেন, শিগগিরই সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে কাজ করা ত্যাগী ও একনিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। একইসাথে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কেউ বড়ত্ব জাহির করতে গেলে কিংবা নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চাইলে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ও প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার জন্য শিগগিরই প্রেস মারফত জানানো হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে বিভিন্ন দলের পদধারী ছাত্রদের প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে মুনা বলেন, আন্দোলনের সময় প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে রক্ষা করেছেন। সেক্ষেত্রে কে কোন দলের সেটাকে বিবেচনা না করে, সবাই স্বৈরাচারের পতনে সম্মিলিত ভূমিকার বিবেচনায় তখন যারা এগিয়ে এসেছে তাদেরকে নিয়েই কমিটি করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং একই সাথে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বা গন সংহতি আন্দোলনের কোন যোগসূত্র প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গন সংহতি আন্দোলন যে আদর্শ নিয়ে কাজ করছে, সে আদর্শের জায়গা থেকে গন সংহতি আন্দোলন কাজ করে যাবে তার নিজস্ব গতিধারায়। আর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিলো স্বৈরশাসক পতনের পেছনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। যা এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের স্বৈরাচার থেকে মুক্তির আন্দোলন।