“আমরা নতুন যৌবনেরই দূত”এই স্লোগানকে ধারন করে ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মিলন উদযাপন করলো নাট্যদল নাটুয়া’।
শুক্রবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জের নাট্য আন্দোলনের শুদ্ধ ও মূলধারার অন্যতম নাট্যদল নাটুয়া’র ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মিলনে নাটুয়া সভাপতি বিজয় বণিক এর সভাপতিত্তে¡ অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার,নাট্যকার,কবি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মিজানুর রহমান মিল্কী, সংশপ্তক নাট্য দলের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি,নাট্যকার ও নির্দেশক সানাউল্লাহ হক, নাটুয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্যামল সাহা, সুজিত কুমার সাহা,হালিমা আজাদ, ফারহানা আজাদ মুন্নি, পরিতোষ সাহা, হরি চরণ শীলসহ নাটুয়ার নবীন প্রবীন সকল নাট্যকর্মীবৃন্দ।
নাটুয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ শরীফ এর অনবদ্য ও শৈল্পিক সঞ্চালনায় প্রথমেই নাটুয়া পরিবারের সদস্য ও সদস্য পরিবারের প্রয়াত ব্যাক্তিবর্গের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নাটুয়ার সূচনা সংগীত আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ সমবেত ভাবে পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন নাটুয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুজিত কুমার সাহা, নির্দেশক শ্যামল সাহা, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহজাহান শামীম, সংগীত শিল্পী প্রিন্স মামুন,এড.সারোয়ার জাহান, কাউসার হামিদ, দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সানাউল্লাহ হক, পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মিজানুর রহমান মিল্কী, সমাপনী বক্তব্য রাখেন সভাপতি বিজয় বণিক।
পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে রবী ঠাকুরের নাটকের গান ও ভিন্নধর্মী সংগীতের আয়োজনটি ছিল শৈল্পিক মূর্চ্ছানায় আচ্ছাদিত। নাটুয়ার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সম্পৃক্ত নাটুয়ার সকল নাট্যকর্মীদের উপস্থিতি ঘটে সম্মিলনে, তাছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সংশপ্তক নাট্যদল, ঐকিক থিয়েটার, বাতীঘর(ঢাকা), লোক নাট্যদল(টিএসসি)সহ বিভিন্ন নাট্যদলের নাট্যকর্মীদের মিলনমেলায় পরিনত হয় শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। শেষে কেককাটা ও থিয়েটার আড্ডার মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সম্মিলনের আয়োজন। তথ্যে জানা যায়, নাটুয়ার বিখ্যাত দু’টি প্রযোজনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী’ ও মান্নান হীরার নিরীক্ষাধর্মী প্রযোজনা একজন লক্ষিন্দর’ নাটকগুলো এখনও দর্শক তথা নাট্যকর্মীদের হৃদয় হাতড়ে বেড়ায় ভিন্ন মাত্রায়।