স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টায় প্রথমে র্যালি ও পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমীন সাগরসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, নাগরিকদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের শীতলক্ষ্যা নষ্ট হচ্ছে, আমরা কারখানা মালিকদের বাধ্য করতে পারছি না এটিপি ব্যবহার করতে। অনেকের কাছে রয়েছে, তবুও তারা এটিপি ব্যবহার করছে না। আমরা একটা টিম করেছি; ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা অধিদপ্তর আর পিডাব্লিটি। এই একটা টিম প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন রুফটপ, কারখানা যেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই সেখানেসহ কোথাও না কোথাও যাচ্ছে। এই বছর ৪৭টি ইট ভাটাকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দিচ্ছি, মাথায়ও আসছে না যে আমি নদীটা নষ্ট করে দিচ্ছি। ডাইং এর রং বা কলকারাখানার বর্জ্য নদীতে ফেলে দিচ্ছি, আমার অনেক টাকা ইনকাম হচ্ছে; কিন্তু আমি আমার আগামী প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি। জার্মানির একটি নদী আছে, সেটার অবস্থা আমাদের শীতলক্ষ্যার থেকেও বেশি খারাপ ছিলো। তারা ধিরে ধিরে নদীটাকে আবার সুস্থ করে তুলেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর নিয়ে আমি কমপক্ষে ৮-১০টা মিটিং করেছি। একটি লং টাইম প্ল্যানের চিন্তা করেছি। কারণ একদিন-দুইদিন, এক-দুই বছরে কিন্তু আপনি শীতলক্ষ্যা বুড়িগঙ্গা নদীর পানি পরিস্কার করতে পারবেন না। এটা একটা লং প্রসেস। আমি দেখেছি শুধু কাউকে জেল দিয়ে, জরিমানা দিয়ে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। আমার বিকেএমইএ’র সাথে কথা বলেছি, বিজিএমএ’র সাথে কথা বলেছি। ডাইং এসোসিয়েশনের সাথে কথা বলেছি। আমি চিন্তা করছি, সবাইকে নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করবো। এই অবস্থা থেকে কিভাবে বেড়িয়ে আসতে পারি আমরা।সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে সব কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। এই পরিবেশ রক্ষা করতে হলে এই বিষয়ে জানতে হবে আর এ বিষয়ে অনেক শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের অনেক অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চাড়া তুলে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।