স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মটরযান প্রশিক্ষন এন্ড ইজিবাইক সার্ভিস লিমিটেড এর কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাক এটির উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মটরযান প্রশিক্ষণ এন্ড ইজিবাইক সার্ভিস লিমিটেড এর জেলা প্রতিনিধি ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, এনসিসি প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মটরযান প্রশিক্ষণ এন্ড ইজিবাইক সার্ভিস লিমিটেড এর উপদেষ্টা এড জাহাঙ্গীর ইসলাম, মার্কেটং ডিইরেক্টর মো. আক্তার আহাম্মেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শামসুল আরেফিন, মহানগর তাতী লীগের আহবায়ক চৌধুরী এইচ এম শাহেদ।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খোকন সাহা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত। সরকার অনুমোদিত একটিপ্রকল্প। মাঝে মাঝে আমিও বিরক্ত হই এই ইজিবাইক চালকদের উপর। শামীম ওসমান বলতো সংজমের সাথে চলো, গরিব মানুষ কোথায় আর যাবে। আমরা সরকারি দলের লোক, আমাদের কাজ গরিবের হক যাতে কেউ না মারতে পারে। কালাম সাহেবের উদ্যোগটা অনেক ভালো। তিনি একটি আইন করে নিয়ে আসছেন। সরকার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, আপনারা দেখবেন আগামী ২০২৫-২৬ পর্যন্ত ৩০ভাগ গাড়ি বৈদুতিক হয়ে যাবে। সরকারকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা জ্বালানির জন্য ভর্তুকি দেয়। বিদ্যুতে এত দিতে হয় না। আমি কালাম সাহেবের কাছে অনুরোধ করবো, আপনি একটি ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থা রাখবেন। যাতে আজিবাইক চালাতে গিয়ে যদি কোন চালক খুন হন কিনবা দুর্ঘটনায় মারা যান তাহলে তার পরিবার ইন্সুরেন্সের টাকাটা পাবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দোয়া করবেন নেত্রীর জন্য। এই সব কিছু হচ্ছে শেখ হাসিনার জন্য। তার জন্যই এই দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। মিনিমাম ১৮-২০ ঘন্টা তার কাজ করতে হয়। তিনি সারা দেশের খবর রাখেন। তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে তো সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত দূত হিসেবে এসেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে আপনার আমার সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জল হবে। চোর-চোট্টা ভইরা গেছে দেশে। চাদাবাজ-ধান্দাবাজ দিয়ে দেশ ভরে গেছে। নেত্রী সামাল দিচ্ছেন। বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ধরছেন। কোন সরকারি কর্মচারি কাজে ফাকি দেয়। কোন দলীয় নেতা দলের পদ-পদবি ব্যবহার করে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন সব খবর নেত্রীর কাছে আছে। কে শ্রমীকদের কাছ থেকে, ইন্ড্রাষ্টির কাছ থেকে চাদাবাজি করছেন; সব নেত্রীর কাছে খবর আছে। আমাদের সকলের উচিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নেত্রীর সাহায্য করা।
সভাপতির বক্তব্যে জি এম আরমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের এমডি খুব ভালো একজন মানুষ। এইযে আমাদের জেলায় ব্যাটারি চালিত যে গাড়ি গুলো দেখছেন, এগুলোর বেশিভাগ ড্রাইভার প্রশিক্ষন না নিয়েই এটি চালাচ্ছেন। এই গাড়ি চালাচ্ছেন বলেই তারা তাদের সংসার চালাতে পারছেন। তাদের এই কাজটাকে প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য আবুল কালাম সাহেব এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। সারা দেশের ড্রাইভারদের তিনি এই প্রশিক্ষন দিবেন। এই সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। তাদের মাধ্যমে বিআরটিএ’র লোকেরা আসবেন এবং প্রশিক্ষন দিবেন। ঈদের পর থেকে আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে। পরবর্তীতে প্রতিটি থানা এলাকায় আমরা একটি করে ট্রেনিং সেন্টার করবো। এই প্রশিক্ষনের পর ড্রাইভাররা একটি লাইসেন্স পাবে। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, সারা দেশে এটি চলবে। এটিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক কিছু করা হয়েছিলো। এটা একটি সামাজিক কাজ। সব শ্রেনির মানুষ এখান থেওেক গাড়ি চালানো শিখবে। এই ইজিবাইক থেকে সরকার প্রতিবছর ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে।
অনুষ্ঠানের তত্তাবধানে ছিলেন- বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মটরযান প্রশিক্ষণ এন্ড ইজিবাইক সার্ভিস লিমিটেড এর জেলা প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান মাসুদ ও জাহাঙ্গীর আলম ডালিম।