স্টাফ রিপোর্টার
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন চেয়ে লিখিত আবেদন দিয়েছেন ধামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য সফুর উদ্দিন ভুইয়া। আবেদনে সীমানা জটিলতা নিরসন করে নির্বাচন দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে উক্ত আবেদন জমা দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বন্দর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা, সহকারী ভূমি কমিশনার ভূমি সদর নারায়ণগঞ্জ এর কাছে অনুলিপি জমা দিয়েছেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত একটি আবেদন ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন ধামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য সফুর উদ্দিন ভুইয়া। পাশাপাশি সেই আবেদনের একটি অনুলিপি আমার কাছে দেওয়া হয়েছে।
বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাইন আল জিহান জানান, এখনও এ নিয়ে আমার কাছে এমন কাগজ আসেনি।
ধামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সফুর উদ্দিন ভুইয়া আবেদনে উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার, বন্দর থানার, মুছাপুর ও ধামগড় ২টি আলাদা আলাদা ইউনিয়ন। উক্ত দুটি উইনিয়ন করার সময় মুছাপুর ইউনিয়নে ৯টি এবং ধামগড়ে ৯টি ওয়ার্ড হিসাবে ভাগ করা হয়। কিন্তু চিড়াইপাড়া প্রামটিতে ২টি ইউনিয়নরে কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে। মুছাপুর ইউনিয়ন এবং ধামগড় ইউনিয়ন দুটির মাঝ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থান। মহাসড়কে দুই পাশে দুটি ইউনিয়নের অবস্থান হলেও উভয় ইউনিয়নের কিছু কিছু অংশ একটির অভ্যন্তরে আরেকটি ডুকে পড়ার ইউপি সদস্যদের কাজে বিরাট প্রতিব›দ্ধকতা সৃষ্টি হয়। সেই সাথে মহাসড়কের এপাশে জনগন অপর পাশে গিয়ে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে এবং নিবার্চন চলাকালিন একটি বিরাট মারামারি সম্মুখিন হয় এবং এই মহাসড়কের এক পাশের লোকদের অপর পাশে এসে মেম্বার পদপ্রার্থীর ভোগ আদার প্রদানে বিরাট সমস্যার সম্মুখিন হয়। তাই এসব সমস্যা ও মারামারি বন্ধে দুটি ওয়ার্ডের সীমানা পুন:নির্ধারণ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবী রাখেন।
এ ব্যাপারে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, আমি এখন পর্যন্ত এমন আবেদন জমা পাই নাই। যদি আমার ইউনিয়নের মেম্বার এমন আবেদন করে থাকেন তাহলে আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। মুছাপুর ইউনিয়নের সাথে ধারমগড়ের সীমানা নিয়ে সমস্যা আছে।
তিনি আরো বলেন, মুছাপুরের সাথে আমাদের শুধু ৪নং ওয়ার্ড নিয়েই সীমানা গত বিরোধ নয়, জটিলতা আরো একটি ওয়ার্ডে রয়েছে। ধামগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মালিবাগ চান্দের বাড়ি এলাকাটি ধামগড় ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত হলেও সেখানে মুছাপুর ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ভোটার বিচ্ছিন্ন ভাবে ডুকে পড়েছে। যারা ভৌগলিক ভাবে ধামগড় ইউনিয়নে বসবাস করে সকল সুযোগ সুবিধা ধামগড় থেকে গ্রহণ করলেও তারা মুছাপুর ইউনিয়নের ভোটার। এছাড়াও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ১ কিলোমিটারের কম দুরত্বের ভেতরে যোগীপাড়া একটি গ্রাম আছে। যেটি পুরোটাই মুছাপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত কিন্তু সেখানে ১৪৭জন ভোটার ধামগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার হলেও ধামগড় ইউনিয়ন থেকে তারা সম্পূর্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন।