স্টাফ রিপোর্টার
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে রূপঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ২৬ জুন সাকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘জগ’ প্রতীকের প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম ও ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীকের প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। এছাড়া ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন৷
জানা গেছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে কাঞ্চন পৌরসভার ১৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৭৯৮ জন ভোটার ভোট দিবেন৷ এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ১২টার পর থেকে সবধরনের প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, দুই প্রার্থীই ভোটারদের প্রভাবিত এবং আতঙ্কিত করতে ‘বহিরাগতদের’ দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করছেন। তাদের ভাষ্য, বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী রাতভর এলাকায় অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে, যা ভোটারদের আতঙ্কিত করে তুলছে। দুই প্রার্থীই একই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার অভিযোগ করেন, ‘আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী) বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্র জোগার করে নির্বাচনী এলাকায় রাতের বেলায় মাইক্রো দিয়ে মহড়া দিচ্ছে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আগামী ২৬ জুনের নির্বাচনে ভোটাররা যেন সেন্টারে (ভোটকেন্দ্র) না যায় সেজন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় রাত একটা-দুইটার পর থেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’
এদিকে, রফিকুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে৷ হত্যা মামলার আসামিরাও প্রকাশ্যে মোবাইল প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে৷ আমি কমিশনে একটি তালিকা দিয়েছি৷ আশা করি প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে৷’
তবে, সব বাধা মোকাবেলা করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানান এ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে৷ ইতিমধ্যে আমাদের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের দিন পর্যাপ্ত পুলিশ, ব়্যাব, বিজিবিসহ ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্বে থাকবেন৷ ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না৷’