গণমাধ্যম নিউজ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ না থাকায় আরও তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। উপজেলাগুলো হল- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া এবং নেত্রকোণার খালিয়াজুরী। ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম উপজেলা তিনটিতে ভোট স্থগিতের কথা জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে এর আগে সোমবার ১৯ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সব মিলিয়ে ২২ উপজেলায় ভোট স্থগিত করল কমিশন।উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বুধবার ১১২টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলা জটিলতা ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫ উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সে হিসেবে বুধবার ভোট হবে ৮৭ উপজেলায়। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম জানান, সবশেষ খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে যে ১৯ উপজেলা ভোট স্থগিত করা হয় সেগুলো হল- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি। ইসি সচিব জানান, মাঠ পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ভোটে আগের আরও কোনো উপজেলার তথ্য এলে সেগুলোও বন্ধ করা হতে পারে। দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পার হন ২২ জন। ২১ মে এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। এরপর ২৯ মে তৃতীয় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অন্যদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে।