নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৫ ই আগস্ট এর গণ অভ্যুত্থান রচিত হয়েছে দেশের ছাত্র জনতার দৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে। এই ঐক্যে যেভাবে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ছিল, একইভাবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় হাটহাজারী থেকে রহমানিয়ার আমাদের মাদ্রাসার ছাত্ররাও হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে এক অটুট বন্ধন তৈরি করেছিল। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার বহু সময় ধরে চেয়েছিল জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে। স্বাধীনতার ৫০ বড় বছর পরও তারা রাজাকার রাজাকার নাম দিয়ে এদেশের মানুষদের দাবিয়ে রাখা ষড়যন্ত্র করেছিল। আমরা সকলে এখন ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু তারা এখনো আমাদের ঐক্যবদ্ধ, আর এই ঐক্যের পতন ঘটাতে তারা এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার ডিআইটি এলাকায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর শান্তি সমাবেশে একথা বলেন তিনি। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনুর রশিদ এর পরিচালনায় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক।
ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, আমার ছাত্র ভাইয়েরা তোমরা আমাদের মাদ্রাসায় আসবে, মসজিদে আসবে। মাদ্রাসার ছাত্ররা টিএসসি তে যাবে, শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি আঁকবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেই ভাষার মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছাত্র জনতার রাষ্ট্র সংস্কারের যে আন্দোলন, এ আন্দোলনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। সকল শহীদদের আত্মত্যাগ রক্তের সাথে আমাদের ঈমানদারীকে রক্ষা করতে হবে। শহীদদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৫ শতাধিক শহীদদের হত্যার বিচার করতে হবে। ২০২১ সালের আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, ২০১৩ সালের ৫ই মে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।