স্টাফ রিপোর্টার
১২ ই রবিউল আউয়াল সোমবার হিজরী ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আইয়ামে জাহেলিয়াতের চরম পর্যায়ে, পৃথিরীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অন্ধকার পৃথিবীর সমগ্র মানবকুলের হেদায়েত ও আলোর পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আবর ভূ-খন্ডের মক্কা নগরীতে তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)কে প্রেরণ করেন।
সারা বিশে^র মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য এই দিনটিকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে। আওলাদে রাসুল,গাউছে জামান সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রঃ) সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সনে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে জশনে জুলুছ এর মতো নির্মল আনন্দের প্রবর্তন করেন। বিশে^র সর্ব বৃহৎ জশনে জুলুছে আজ তাঁরই ইসলামী সংগঠণ আনজুমান এ রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট ও গাউসিয়া কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬৫ লক্ষ মানুষ অংশ গ্রহণ করে। তাছাড়া তাঁরই নিদের্শ মোতাবেক গাউসিয়া কমিটির বাংলাদেশ এর উদ্যোগে দেশের প্রধান প্রধান জেলা শহরগুলোসহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাশে গোগনগর ইউনিয়ন শাখার ব্যবস্থাপনায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুছ বের হয়। প্রায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গাউসিয়া কমিটি গোগনগর এই জুলুছের আয়োজন করে। জুলুছটি গোগনগর বড় মসজিদ থেকে বাদ আসর রেব হয়ে গোগনগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে গোগনগর তাজেক প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নির্ধারিত মঞ্চে এসে শেষ হয়। নির্ধারিত মঞ্চে গাউসিয়া কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা,মহানগর,থানা কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম, ওলামায়ে কেরাম এবং এলাকার গণ্যামন্য ব্যাক্তিবর্গ জশনে জুলুছের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জশনে জুলুছে হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান বক্তাগণ। আলোচনা শেষে মিলাদ মাহফিল,মোনাজাত ও তবারকের আয়োজন করে গোগনগর গাউসিয়া কমিটি।
জুলুছে অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন গোগনগর শাখা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ ওসমান গণি,সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন কাবিল,মনির হোসেন মনু, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আলম সাহবুব, উদযাপন কমিটির আহবায়ক মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে।