আব্দুল্লাহ আল মামুন
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোজ খবর নেন।
এ সময় সারজিস আলম নিহত ব্যক্তিদের জন্য বিচার পেতে সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন গত ১৮ জুলাই শহরের চাষাঢ়া এলাকায় আন্দোলনে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। জোবায়ের বলেন, ‘আমার ডান কান অবশ হয়ে গেছে। তিন দফা অপারেশন করে গুলি বের করা হলেও এখনও মাথা ও শরীরের অনেক স্থানে গুলি রয়েছে।’ আজ সমন্বয়ক সারজিস আলম তাকে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মাবরুর হোসাইন রাব্বি। তিনি শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মাদ্রাসার ছাত্র। তার মা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সন্তান হারানোর ব্যথা কী, সেটা মা-বাবা ছাড়া কেউ বুঝবে না। আমার বাবা পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। এখন পুলিশ দেখলেই ভয় লাগে।’