যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ছোট একটি শহরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া শক্তিশালী এক টর্নেডোতে বেশ কয়েকজন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গ্রিনফিল্ড শহর থেকে আসা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, টর্নেডোটির গমনপথ বরাবর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, বাড়িগুলো গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে আর ধ্বংসস্তূপ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি বায়ুকল ভেঙ্গে পড়েছে। গ্রিনফিল্ডে সন্ধ্যাকালীন এক সংবাদ সম্মেলনে আইওয়া অঙ্গরাজ্য টহল পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট অ্যালেক্স ডিঙ্কলা বলেন, “টর্নেডোটি এই শহরের একটি বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। এর তাণ্ডবে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে।”তবে তিনি নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেননি। বুধবারের আগে মৃতের সংখ্যা নাও জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি; খবর রয়টার্সের। ডিঙ্কলা জানান, টার্নেডোয় গ্রিনফিল্ডের অন্তত ১২ জন বাসিন্দা আহত হয়েছেন।ঝড়ে প্রায় ২০০০ বাসিন্দার শহরটির স্থানীয় হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহতদের নিকটবর্তী শহরের হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। আইওয়ার গভর্নর কিম রেনল্ডস জানিয়েছেন, বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিনফিল্ড শহর পরিদর্শনে যাবেন তিনি। শহরটির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয়, খাবার ও পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পেট্রল পাম্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে থাকা গাড়িগুলো চূর্ণ হয়ে গেছে। টর্নেডোতে গ্রিনফিল্ডের পাশাপাশি সংলগ্ন অ্যাডাম কাউন্টিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত একজন, এক নারী নিহত হয়েছেন।গভর্নর রেনল্ডস অঙ্গরাজ্যের ১৫টি কাউন্টিতে ‘জরুরি দুর্যোগ অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন। অ্যাডাম কাউন্টিতে ২৫তলা সমান উঁচু অন্তত তিনটি বায়ুকল (টারবাইন) প্রায় দুই টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে একটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী অ্যাডায়ার কাউন্টিতে আরও বেশ কয়েকটি বায়ুকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা মঙ্গলবার আইওয়াসহ দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে টর্নেডোর সতর্কতা জারি করেছিল।