গণমাধ্যম নিউজ
বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব সুবজ কারখানার মধ্যে ৫৬টি রয়েছে বাংলাদেশে। দিন যতই যাচ্ছে দেশে গ্রিণ ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরও একটি কোম্পানি। নতুন যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮টিতে। আজ বুধবার (২৯ মে) তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিএমইএ জানায়, পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানায় তালিকায় আরও একটি প্লাটিনাম রেটেড লিড কারখানা যোগ হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে ২১৮টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। নতুন পরিবেশবান্ধব কারখানাটি রাজধানীর উত্তরা কাচকুরায় অবস্থিত কেসি জ্যাকেট ওয়্যার কোম্পানির। এ কারখানাটি ৮৪ স্কোর করেছে।
নতুন যোগ হওয়া পরিবেশ বান্ধব সবুজ কারখানা নিয়ে মোট ২১৮টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ৮৪টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১২০টি গোল্ড রেটেড, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি। এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৬টিই বাংলাদেশে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে হলে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।
লিড সনদের জন্য নয়টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ পাওয়া যায়।লিড সনদপত্রের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের প্রয়োজন। লিড প্রত্যয়িত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আরও ৫০০টি কারখানা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।