স্টাফ রিপোর্টার
রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, আইএমইডি সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
সচিব বলেন, একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদী এবং সংযুক্ত খালসমূহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ’ প্রকল্প এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা (১ম পর্যায়) প্রকল্প; ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চালের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্প’; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর রিপারপোজিং অব অ্যাগ্রিকালচারাল পাবলিক সাপোর্ট টুওয়ার্ডস ও সাসটেনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন বাংলাদেশ প্রকল্প’; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প’।
এছাড়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ (আর-১৪০) (লক্ষ্মীপুর আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড হতে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা) এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ (আর-১৪২) (সোনাইমুড়ী হতে রামগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪-লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) প্রকল্প : ১. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ২. বিদ্যুৎ বিভাগ ৩. স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-এর গুচ্ছ প্রকল্প’ ইত্যাদি।