গণমাধ্যম সংবাদ
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে একটি কারখানায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন সরকারপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সোমবার (৩ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রোববার (২ জুন) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলেপ্পোর উত্তরে হাইয়ান শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি কারখানায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এই হামলায় সিরীয় ও বিদেশি নাগরিকত্বের ১২ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মধ্যরাতের পর… ইসরায়েলি শত্রু আলেপ্পোর দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে একটি বিমান হামলা শুরু চালায়, শহরের বেশকিছু অবস্থান লক্ষ্য করে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে বেশ কয়েকজন শহিদ হয়েছেন ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস পর্যবেক্ষক সংস্থাটির কার্যালয় ব্রিটেনে হলেও, সিরিয়ার ভেতরে তাদের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী ও দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল তার উত্তর প্রতিবেশী দেশটিতে শত শত হামলা চালিয়েছে, প্রধানত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহসহ সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে।
তবে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের তথ্য ইসরায়েল খুব কম প্রকাশ করে থাকে। তেল আবিব দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছে, তারা তাদের চিরশত্রু ইরানকে সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সুযোগ দেবে না।
সিরিয়ায় এক দশক ধরে চলা যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনহানি ঘটেছে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থীশিবিরে জীবনযাপন করছেন। ২০১১ সালে দামেস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের ঘটনায় দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করায় দেশটিতে তেহরানের প্রভাব বেড়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের তিনজন সিনিয়র কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছিলেন। ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এর প্রতিশোধ নেয়।