গণমাধ্যম নিউজ
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার একটি স্কুলে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা স্কুলটিতে আশ্রয়ের খোঁজে এসেছিল বলে গাজার গণমাধ্যম জানিয়েছে।
অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, স্কুলটিতে হামাসের একটি কম্পাউন্ড ছিল, সেখানে হামলা চালিয়ে ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে জড়িত যোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে; যে হামলাটি আট মাস ধরে চলা যুদ্ধের সূচনা ঘটিয়েছিল।
মধ্য গাজার নুসেইরাতে জাতিসংঘের ওই স্কুলে হামাসের একটি লুকানো কমান্ড পোস্ট ছিল, ইসরায়েলের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজার হামাস পরিচালিত সরকারের তথ্য দপ্তরের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবেত।রয়টার্সকে তিনি বলেন, “দখলদাররা কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত মানুষের বিরুদ্ধে চালানো নৃশংস অপরাধকে বৈধতা দিতে মিথ্যা বানানো গল্পের মাধ্যমে জনমতের কাছে মিথ্যা কথা বলে।”
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধ বিমানগুলোর হামলার আগে ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী বেসামরিকদের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছিল।ইসরায়েল বুধবার গাজার মধ্যাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি নতুন অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে, এখানেই বিমান হামলায় বহু লোক নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এবং ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, বুধবার তারা পুরো গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীগুলোর সঙ্গে বন্দুক লড়াই করেছে আর শত্রুদের অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট ও গোলা ছুড়েছে।
বুধবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দিয়ের আল-বালাহর শুহাদা আল আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে দু’টি শিশু আছে। শিশু দু’টি তাদের মা-সহ নিহত হয়েছে। গাজায় যে দু’টি হাসপাতাল এখনও সচল আছে এই শুহাদা আল-আকসা তার একটি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় অনেকে পালাতে পারলেও ওই মা ও শিশ দু’টি পালাতে পারেনি।
শিশু দু’টির বাবা আবু মোহাম্মদ আবু সাইফ বলেন, “এটি যুদ্ধ না, এটি ধ্বংস যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”
ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালে লড়াইয়ে কোনো বিরতি দেওয়া হবে না।