স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, ‘যতটুকু আমি জানি ইতিমধ্যে কয়েকটা মামলা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে যা নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। যারা মামলা করছেন আমি তাদেরকে অনুরোধ করেছি এখন ধৈর্য ধারণ করো। আমি অনুরোধ করবো শান্তি ফিরিয়ে দাও। খোঁচাখুঁচি করে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে, সাপ বের করে আইনেন না। সামনে আরো মামলা হওয়ার অনেক সুযোগ আছে, শান্তিপূর্ণভাবে থাকেন এবং নমিনেশন উইথড্রো করেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় বন্দরের আনন্দ রিভিও পার্কে আয়োজিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, বন্দর চেয়ারম্যানকে আমি রিকোয়েস্ট করব পারিবারিক তন্ত্র কইরেন না, বিপদে পড়ে যাবেন। আপনার ছেলে এত ভালো না। আপনার ছেলে আপনাকে এবং মুসাপুর কে বিক্রি করে ফেলবে। একজন মহিলা কে অপমান করা মানে সারা বিশ্বের মহিলা জাতিকে অপমান করা। এটা আমারও সম্মান যায় যে আমার উপজেলা চেয়ারম্যান নারী সংক্রান্ত কারণে জেলের ভাত খায়। উনি উপজেলা নির্বাচনের সময় আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন ভাই আমি আপনার কাছে আসছি, আপনার থেকে সালাম নিয়ে নির্বাচনে নামবো। আমি তাকে বাধা দেয়নি। কিন্তু এবারে নির্বাচনে তিনি জিজ্ঞেস করতে পারতেন আমার ছেলে নির্বাচন আসতে চায়। তিনি কিন্তু সেটা করেনি। আমাকে ভীতুন ডিম না। প্রয়োজনে আমার চারটা চেয়ারম্যান এবং সেলিম ওসমান, আমরাই চালাবো। মনে রাখবেন লাঠির উপর এমএ পাস নাই, মাইরের উপর ওষুধ নাই।
সংসদ সদস্য আরও বলেন, এখানে আমার রশিদ ভাই আছেন তিনি আমার মুরুব্বী। তিনি কথা বলে একটি নাম ডিক্লারেশন দিবেন, সে প্রার্থীর প্রতি আমার দোয়া থাকবে। প্রশাসনের কাছে আমার রিকোয়েস্ট থাকবে এই নির্বাচনে কোনভাবেই নাক গলাতে আসবেন না। সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো যতক্ষণ ভোটকেন্দ্রে ভোট চলবে ততক্ষণ যেন আপনাদের ক্যামেরা চলে। তারপরও এটা আপনাদের মতবাদ যে নির্বাচন করবেন নাকি ছেড়ে দেবেন। এই দিন দিন না আরো সময় আছে। আমার দাদা একটা কথা বলতো ‘ঐদিন নাইরে নাতি, একা খাবাইয়া খাবি হাতি’। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে রিকুয়েস্ট করলাম আপনি আপনাদের পরিবারের সদস্যদের মনোনয়নপত্র উইথড্র করে নেন। এরপর একজনকে সমর্থন দিয়ে বিনা নির্বাচনে চেয়ারম্যান করে দেন।
সেলিম ওসমান বলেন, খোঁচাখুঁচি করবেন না কেঁচো বের হয়েছে সাপ বের হয়নি। আপনি যেই হোন না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি চেয়ারম্যান আছেন আমি আপনাকে সম্মান দিব। এলাকার স্বার্থে আমি সবাইকে সম্মান দিব কিন্তু খোঁচাখুঁচি করলে আপনি সেলিম ওসমানকে পাবেন না। উপজেলা নির্বাচনের সময় আইনগত বাধা ছিল। কিন্তু এখন আমার কাছে কোন চিঠি নেই যে উপনির্বাচনে আমি থাকতে পারবো কি না। ক্ষমতা আল্লাই দেয় কিন্তু আমার এখানের পাঁচটি চেয়ারম্যান হচ্ছে আমার পাঁচটি সন্তানের মত। আমি আমার পাঁচটা সন্তানকে একত্রে করে বসে তাদের সাথে কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি যে তোমরা চিন্তা ভাবনা করে দেখো। তোমরা আরো তিন বছর আছো তবে সবাই মিলে এখানে রশিদ ভাইকে আনা যায় কিনা। রশিদ ভাই যখন প্রথম এসেছিল তখন পাঁচজন চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলেই কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছে।