ফতুল্লা প্রতিনিধি
ফতুল্লার চর বক্তাবলীতে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ৩/৪টি গ্রাবের মাধ্যমে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে খবির হোসেন, দিল মোহাম্মদ ও মেসি বাহিনী। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনয়িনের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীর নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত সরকারের অনুমতি না নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী হতে মাটি উঠিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করছে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের খালু শশুর রাজা মিয়ার বিয়াই হাজ্বী সলিমের ছোট ভাই খবির হোসেন, একাধিক মামলার আসামী দেলোয়ার হোসেন মেসি, দীল মোহাম্মদ চেয়ারম্যানকে বৃদ্ধা গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে আসছে গ্রাব গুলোকে।
সূত্রে জানাযায়, বক্তাবলীতে নানা অপর্কমের মূলহোতা যাদের নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। গত (৬ মার্চ) বুধবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি না নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী হতে গ্রাবের মাধ্যমে নদী হতে মাটি কাটারত অবস্থায় কয়েকজনকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ এবং টাকার বিনিময় তাদের ছেড়ে দেওয়ার অভিয়োগ রয়েছে। নদীর পারের স্থাপনা গুলোর কথা চিন্তা না করেই দিনরাত মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে অদুর ভবিষ্যতে নদীতে পারের স্থাপনা গুলো বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর সূত্রে আরো জানাযায়, বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাড়ি ও ফতুল্লা থানা পুলিশকে মেনেজ করেই তারা নদীতে গ্রাব চালিয়ে আসছে। যা সবটাই নিয়ন্ত্রন করেন দেলোয়ার হোসেন মেসি যিনি ফাড়ির ও থানা পুলিশের টাকা প্রতি মাসে ও সপ্তাহে গিয়ে তাদের কাছে দিয়ে আসেন। নদী থেকে মাটি তুলে প্রতি ট্রলার মাটি সবনিম্ম ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে । প্রতিদিন ৩/৪ টি গ্রাব দিয়ে ৪০/৫০টি ট্রলার এর বেশি মাটি বিক্রি করে আসছে খবির ও মেসি বাহিনী, যাদের থামানোর কেউ নেই। ব্যবসায়ী সলিম হাজ্বীর ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নামধারী নেতা খবির হোসেন, একাধিক মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন মেসি ও দীল মোহাম্মদরাই মূলত মাটিকাটাসহ নানা অপকর্মের হোতা। অতি দ্রুত নদী হতে মাটিকাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে খবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন মেসি বলেন, আপনারা চেয়ারম্যান সাহেবকে কেনো জানালেন। সে এটার বিষয়ে কিছু জানে না। আমরা এখানে গ্রাব চালাই সেটা আমাদের গ্রামের লোকরা মিলে করি। নদীতে গ্রাব চলে ও আমাদের খালে একটি চলে। এবং আমাদের সাথে বেশ কয়েকজন বিশেষ পেসার লোকরা আছে যাদের আমরা সম্মানি করে থাকি। এবিষয়ে ফতুল্লা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী বলেন, তারা যে গ্রাব গুলোকে চালাচ্ছে আমি তাদের না করেছি। তারা আমরা কথা শুনে না। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো যারা অপরাধের সাথে জরিত তাদের বিরুদ্ধে যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।