রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রতিবেশী দেশ চীনে গেছেন। সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ইউক্রেইন, এশিয়া, জ্বালানি ও বাণিজ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিন বৃহস্পতিবার ভোরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পৌঁছান। পরে বেইজিংয়ের গণ-মহাভবনে প্রেসিডেন্ট শি-র সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
এ সময় শি দুই দেশের সম্পর্ক ‘পুনরুজ্জীবিত করতে’ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “চীন সবসময় রাশিয়ার ভালো অংশীদার হবে।“
রয়টার্স বলছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি বতর্মান বিশ্বে পুতিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সমর্থক। রাশিয়া ও চীন উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
সংক্ষিপ্ত বৈঠক চলাকালে শি পুতিনকে বলেন, “চীন-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক কষ্টার্জিত। দু’পক্ষেরই একে সযত্নে লালন ও আগলে রাখতে হবে। বিশ্বে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে চীন রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে ইচ্ছুক।“
পুতিন শি-কে বলেন তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা একটি চিত্তাকর্ষক ঘটনা।
“চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সুবিধাবাদী এবং কারও বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ,“ জবাবে পুতিন এমনটি বলেছেন বলে তাকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার কয়েকদিন আগে পুতিন বেইজিং সফর করেছিলেন। তখন দুই দেশ তাদের মধ্যে “সীমাহীন” অংশীদারিত্বের কথা ঘোষণা করেছিল।
ফের ছয় বছরের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পুতিন প্রথম বিদেশ সফরে চীনে গেলেন। এর মাধ্যমে শি এর সংগে তার বন্ধুত্ব ও মিত্র দেশ হিসেবে চীনের গুরুত্বের বিষয়ে বিশ্বকে একটি বার্তা দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুই নেতা চা চক্র ও নৈশভোজে মিলিত হবেন। এ সময় তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, দুই নেতা ও দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাপে ইউক্রেইন, এশিয়া, জ্বালানি ও বাণিজ্য প্রাধান্য পাবে।
রাশিয়ার নতুন নিয়োগকৃত প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রি বেলুসোভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, নিরাপত্তা কাউন্সিলের সচিব সের্গেই শোইগু এবং উশাকভ চীন সফরে পুতিনের সঙ্গে আছেন।