বিশেষ প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে দুদিন পর একটি লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে না। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, “বুধবার বিকাল নাগাদ লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে এর গতিপথ কোনদিকে যাবে৷”।সোমবার সকালের আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। রোববার বাগেরহাটের মোংলায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ওঠে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে দেশের সর্বোচ্চ ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া নীলফামারীর সৈয়দপুর, দিনাজপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গার তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।এর মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন ধরে চলে। এরপর ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতায় তাপমাত্রা কমে আসায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হয় ১৩ মে থেকে। সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; পরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিস্তার৷ গত বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।বে বৃষ্টির ফলে কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হয়। মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।