গণমাধ্যম নিউজ
নারায়ণগঞ্জের ৫টি থানার বিভিন্ন মামলায় সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার (২৬ মে) বেলা ১১টার দিকে ১২টি মামলায় জামিন আবেদন করে ৫টি থানার আমলী আদালতে তোলা হয়। জামিন নামঞ্জুর করার পর, বেলা সারে ১১টার দিকে তাকে পুনরায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, সকাল পনে ১০টায় মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আদালতে আনা হয়। গিয়াসউদ্দিনকে আদালতে আনা হবে জেনে আদালতে ভিড় করে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ব্যপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ।
জানা গেছে, ১২টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ফতুল্লা মডেল থানার, ৪টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার, ২টি সোনারগাঁ থানার, ১টি বন্দর থানার ও একটি রূপগঞ্জ থানার মামলা রয়েছে।জামিন আবেদনের বিষয়ে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের আইনজীবী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সরকার টিকে আছেই মিথ্যা মামলা-হামলা করে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে তারা ৭তারিখের নির্বাচন করে। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অজস্র গায়েবি মামলা হয়েছে। সেই গায়েবি মামলায় জনাব গিয়াসউদ্দিন সাহেবকে আজ আদালতে আনা হয়েছিলো। মোট ১২টি মামলায় আজ তার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত সব কয়টি মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে এবং ১২টি মামলাতেই তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা খুব ব্যাথিত, কারণ বিরোধী দল করার কারনে আমাদের মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। সেই সব মিথ্যা মামলায় আজ গিয়াসউদ্দিন সাহেব কারাগারে। আমরা অবিলম্বে এই সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি এবং আমাদের নেতা গিয়াসউদ্দিন সাহেবের মুক্তির দাবী করছি। গিয়াসউদ্দিন সাহেবকে যে সকল মামলায় আসামী দেখানো হয়েছে, ওই সকল মামলার ঘটনাস্থনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। অথচ তাকে আসামী করা হয়েছে। এসকল মামলা হামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না।
ঈদের আগে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জামিন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই আইনজীবী
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের শুনানি করা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, সকাল পনে ১০টার দিকে গিয়াসউদ্দিন সাহেবকে আদালতে তোলা হয়। আজ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানার ১২টি মামলায় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।