স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজ প্রতিটা বিষয়ে এগিয়ে আছে। হয়তো শতভাগ এগোতে পারেনি কিন্তু ৯৫ শতাংশই তারা এগিয়ে আছে বলে আমি মনে করি। চোখকে পরিষ্কারভাবে ব্যবহার করতে হবে ও কান দিয়ে ভালোভাবে শুনতে হবে, এরপর মগজ দিয়ে আমরা কিছু বের করবো আর সেটাই হবে আসল শিক্ষা। আমি প্রিন্সিপালের কাছে অনুরোধ রাখতে চাই এখানে যেন বিজ্ঞানমেলা করা হয়। আপনারা বিজ্ঞানমেলার আয়োজন করেন। বিজ্ঞানমেলায় এসেও অনেক কিছুই জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কলেজ প্রঙ্গণে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নবনির্মিত শহীদ মিনার, শেখ কামাল ভবনের অষ্টম তলার নির্মাণ কাজ, কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ণে স্থাপিত ই-লাইব্রেরি কার্যক্রম ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কালচারাল ক্লাব ও স্পোর্টস ক্লাবকে সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জ কলেজ খেলাধুলায়, পড়া-লেখায় ভালো করেছে। এমন কিছু নেই যেখানে আমার নাতি-নাতনিরা ভালো করে নাই, তাদের জন্য উপহারের ব্যবস্থা করতে হবে। ওরা এখনো বাচ্চা, ওরা যেন আনন্দ করে পারে। আর ওদের এই আনন্দের জন্য নিয়ে কলেজে কালচার ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। এই কলেজের মূল ভবনটা ৮ তালা করা হবে। যদিও আমি সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না। এখানে যদি বোর্ড বলে এবং আমার শিক্ষার্থীরা সহমত হয় তাহলে আট তালা ভবন করা হবে। সরকারি বা বোর্ডের এমন কোন আদেশ আমরা মানবো না যেটাই ছাত্র ছাত্রীর কষ্ট হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সিদ্ধান্ত ছাড়াও কাজ করেছি। সিদ্ধান্ত ছাড়াই এই কলেজে একটি সাত তালা ভবন করা হয়েছে, সেটার জন্য কিন্তু কোন ফান্ড আনা হয়নি। শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে যে বেতন দিয়েছেন সেখান থেকেই জমিয়ে এই ভবনটা করা হয়েছে। শুনেছি এখনো ১১ কোটি টাকা হাতে আছে। তবে এই সুন্দর বিল্ডিং করার উদ্দেশ্য আমরা যেন একটি সুন্দর মানুষ তৈরি করতে পারি।
সংসদ সদস্য আরও বলেন, আল্লাহতালা আমাকে কেন সংসদ সদস্য বানিয়েছেন, কেন আমার মা সেদিন আমাকে জোর করে ছিল আমি এখন বুঝতে পেরেছি। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর স্কুলগুলোর মধ্যে কিছুটা গ্যাপ দেখতে পেয়েছি। আমি নিজেও স্কুল পড়ার সময় কষ্ট করেছি বাথরুম ও খাবার পানির জন্য। সংসদ সদস্য হওয়ার পর আমি সাতটা ইউনিয়নের ৭টা স্কুলের কাজ একবারে সম্পন্ন করেছি। আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গর্ববোধ করি কারণ আমি একটি ভবন বানাতে পেরেছি যেটার নাম হয়েছে বঙ্গবন্ধু ভবন। এরপর মর্গান স্কুলে কি ভবন করতে পেয়েছি যেটা নাম হয়েছে ফজিলাতুন্নেছা ভবন। এই নারায়ণগঞ্জ কলেজে একটি ভবন করতে পেরেছি যেটার নাম শেখ কামাল ভবন। আমি শেখ জামালের নামে জায়গা কিনে সম্পূর্ণ তার নামে একটি ভবন করতে পেরেছি। এরপর আমার বাবা, ভাই এবং আমার স্ত্রীর নামে ভবন তৈরি করা হয়েছে। আমি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে জয় করাতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক আরিফ মিহির’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধক্ষ্য ড. রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক অধক্ষ্য (ভারপ্রাপ্ত) হরমুজ আলী, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, নারায়ণগঞ্জ কলেজ গভনিং বডির প্রাক্তন সদস্য ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না প্রমুখ।